ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাটরা মুন্সি বাড়ি বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে নোটিশ প্রেরণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন!

মোঃ শাহাদাত
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 15, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ছবির ক্যাপশন:
ad728

নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, খাটরা গ্রামে অবস্থিত পারিবারিক কবরস্থানটি অন্য কোনো ব্যক্তি, পরিবার বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয়। এটি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৬ এবং ওয়াকফ অর্ডিন্যান্স ১৯৬২-এর আওতায় পড়ে, যা সরকারি তত্ত্বাবধানের অধীন ও তদারকিতে পরিচালিত হওয়ার কথা।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সদস্যরা আইনগত অধিকার না থাকা সত্ত্বেও কবরস্থানের উন্নয়নের নামে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে,খাটরা গ্রাম পশ্চিম পাড়া কবরস্থান প্রকল্পটির টেন্ডার নং: GSID-2/FRD/SDW-119।

নোটিশে একটি গুরুতর অভিযোগও উত্থাপন করা হয় — মসজিদ কমিটির সভাপতি আহমদ মিয়ার ছেলে দুবাই থেকে ফোনে হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এছাড়াও, প্রভাবশালী স্থানীয় এক মাতব্বর মিমাংসা করে দেওয়ার উদ্দেশ্য লোক মারফত মোটা অংকের টাকা দাবী করেন,যার ফলে গ্রামীণ পর্যায়ে সমস্যাটির মীমাংসা ব্যাহত হয়।জনশ্রুতি আছে,ঐ মাতুব্বরের মাধ্যমে অভিযুক্ত ফিরোজ মিয়াও বিশাল অংকের টাকার বিনিময়ে তার সৎ মা নাসরিন বেগমকে বসত ভিটা ছাড়া করতে সক্ষম হয়েছেন।নাসরিন বেগম তার অংশের ন্যায্য হিস্যার টাকা আইনত না পেলেও দলিল করে বসত ভিটা রেখে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র থেকে জানা যায়।শীঘ্রই বিস্তারিত অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।অনুসন্ধানের সুবিধার্থে আমরা ঐ স্হানীয় মাতুব্বরের নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকছি।

গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন,ঐ স্হানীয় প্রভাবশালী মাতুব্বর এর আর্থিক ও বিপুল সম্পদের উৎস কি ? গ্রামে তার রাজকীয় বাড়ী তৈরির টাকা তিনি কোথায় পেলেন ? এই বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত হলে অনেক কিছু বের হয়ে আসবে বলে বোদ্ধা মহল মনে করেন।

ভুক্তভোগী ও নোটিশ দাতা পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গতকাল গভীর রাতে মুন্সি বাড়ি বাইতুন নূর জামে মসজিদ এর সভাপতি আহমদ মিয়া নোটিশ দাতার মায়ের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ভীতি প্রদর্শনের লক্ষ্যে রাত এগারোটায় একাধিকবার ফোন করেন যা তার পরিবারকে আতঙ্কিত করে তোলে।

সূত্র নিশ্চিত হয়েছে এই ভীতি প্রদর্শনের পূর্বে বাচ্চু ও সেলিম গং এর নির্দেশে আহমদ- মাসুদ গং ঐ প্রভাবশালী মাতুব্বরের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষে ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ০১৭৯৫১২০১৪৩ নাম্বার থেকে বারংবার ফোন কল করতে থাকে।নোটিশ দাতা জানান আমাদের পরিবারের মহিলা সদস্যদের এই ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।তিনি আরও জানান, মোবাইল কল রেকর্ড ও প্রমাণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ঐ মাতুব্বর সহ বাচ্চু -সেলিম- আহমেদ – মাসুদ গংদের নামে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

গ্রামবাসীর মতে, অভিযুক্তরা শুধু দুর্নীতিগ্রস্তই নন, তারা নৈতিকভাবে দেউলিয়া। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায় এ ধরণের ক্ষমতার অপব্যবহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ শাহাদাত

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ